মাগুরার মহম্মদপুরের মধুমতী নদীর শেখ হাসিনা সেতুতে ৯ম বার্ষিক বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মাগুরা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং মহম্মদপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়। আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে মধুমতির দুই তীরে নামে লাখো মানুষের ঢল। নৌকাবাইচ উপলক্ষে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গ্রামীণ মেলা বসতে শুরু করে। নির্দিষ্ট দিনের পরেও তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত চলে এই গ্রামীণ মেলা।

লোক মুখে শুনা যায় বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচের এই মেলা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা। তাই লোকজ ঐতিহ্য এই নৌকাবাইচ উপভোগ করতে সকাল থেকেই শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন মধুমতি নদীর পাদদেশে পার্শবর্তী যশোর, ঝিনাইদাহ, নড়াইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ ও এলাকার শিশু-কিশোর-কিশোরিসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকে। তাদের উপস্থিতিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় আনন্দঘণ ও উৎসব মূখর পরিবেশ।

দুপুর ২টায় শান্তির প্রতিক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম। এরপর শুরু হয় চোখ জুড়ানো মন মাতানো কাঙ্খিত সেই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। বাইচ দেখে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে মধুমতির দুই পাড়ের লাখো লাখো দর্শক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পালের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন- পুলিশ সুপার মো মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু, জেলা আ.লীগের সভাপতি আ.ফ.ম আব্দুল ফাত্তাহ, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আব্দুল্লাহেল কাফি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটন, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নাজনীন রব্বানী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন, ওসি অসিত কুমার রায়, অধ্যক্ষ বিপ্লব রেজা বিকো, মহম্মদপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য শেখ আব্দুল মান্নান ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলন প্রমূখ।

বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ২৩টি নৌকা। টালাই এবং কালাই নামে দুই গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।